Skip to content

আমাদের যাত্রা

আমরা বিশ্বাস করি, সুস্বাদু খাবারের সাথে সুষম পুষ্টি সবার জন্য, সবখানে সহজলভ্য হওয়া উচিত। একটি স্বাস্থ্যবান জাতি গড়ে তোলার প্রত্যাশায় এবং পুষ্টিকে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সাল থেকে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড (গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড নামে পূর্বেপরিচিত) বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। হরলিক্স, মাল্টোভা, বুস্ট ও গ্লুকোম্যাক্স ডি (গ্ল্যাক্সোস ডি নামে পূর্বপরিচিত) এর মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলি উৎপাদন ও বাজারজাত করার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ও একটি স্বাস্থ্যকর ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অবদান রাখার প্রত্যয়ে আমরা আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক মানের বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পন্যগুলি বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারজাত করার মাধ্যমে ভোক্তাদের ভালোবাসা অর্জন করেছি। পাশাপাশি দায়িত্বশীল কোম্পানি হিসেবে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি বা কর্পোরেট ইমেজ রয়েছে। বাংলাদেশের হেলথ ফুড ড্রিংক (এইচএফডি) ক্যাটাগরিতে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড (ইউসিএল) একটি শীর্ষস্থানীয় নাম এবং আমরা সাফল্যের সাথে আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি। মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় আমাদের ব্র্যান্ডগুলি নিয়ে আমরা গর্বিত। বিশেষ করে আমাদের ব্র্যান্ড হরলিক্স সব ক্যাটেগরি বিবেচনা করলেও দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস (এফএমসিজি বা ভোগ্যপণ্য) কোম্পানি ইউনিলিভারের সাথে সফলভাবে একীভূত হওয়ার পর থেকে নতুন উদ্যমে আমরা আমাদের ব্র্যান্ড এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সব ধরণের অপুষ্টি দূর করতে ইতিবাচক অবদান রাখছি। টেকসই উন্নয়নের প্রত্যয়ে ইউনিলিভারের বৈশ্বিক ব্যবসা কৌশল (স্ট্র্যাটেজি) ইউনিলিভার কম্পাস অনুসারে ইউসিএল 'পজিটিভ নিউট্রিশন' বা 'সবার জন্য আদর্শ পুষ্টি' অর্জন করতে আমরা কাজ করছি, যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যেমাত্রা (এসডিজি)-এর জিরো হাংগার (ক্ষুধামুক্তি) ও হেলথ এন্ড ওয়েলবিং (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা) লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত।

3 shelves showcasing Horlicks and Glucose D with product branding on the railings.

জীবনকে সহজ করা

সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনকে সহজ করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের সকল হেলথ ড্রিংক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস দিয়ে সমৃদ্ধ। যেমন আমাদের সকলের প্রিয় হরলিক্সে রয়েছে ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ নিউট্রিয়েন্টস (পরিপোষক পুষ্টি উপাদান)। এই উপাদানগুলো আমাদের স্বাভাবিক খাবারে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এর ঘাটতি পূরণ করে এবং শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। ভোক্তাদের চাহিদা ও প্রত্যাশা নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিয়মিত পূরণ করার কারনে বাংলাদেশের সকল ক্যাটেগরির সব ব্র্যান্ডের হরলিক্স বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে আসছে।

শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক- সব বয়স ও শ্রেণির ভোক্তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য রয়েছে হরলিক্স রেঞ্জ। একই সাথে, মিনি -প্যাক (স্যাশে) থেকে শুরু করে বড় ফ্যামিলি-প্যাকে হরলিক্স পাওয়া যাওয়ার কারণে সবাই খুব সহজেই নিজের প্রয়োজন অনুসারে হরলিক্স কিনতে পারে। বিশেষ করে মিনি-প্যাক (স্যাশে) থাকার কারণে সীমিত আয়ের মানুষও খুব সহজেই কম পরিমাণে মানসম্পন্ন, প্রয়োজনীয় পুষ্টিপণ্য কিনতে পারে।

সুলভ ও সহজলভ্য বিকল্প

বাংলাদেশের অনেক মানুষের জন্য আদর্শ পুষ্টিসম্পন্ন খাবার এখনও নাগালের বাইরে। অন্যদিকে, কম দামের খাদ্যপণ্যগুলি অনেক ক্ষেত্রেই কম স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা এই ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে সকলের জন্য সুস্বাদু, সুলভ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে চাই, বিশেষ করে স্বল্প আয়ের প্রান্তিক মানুষদের জন্য। এখনও আমাদের সমাজে যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে আর্থসামাজিক ব্যবধান ও অসমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই সমাজের সবার জন্য পুষ্টি পণ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। আমাদের ইনসাইট-ড্রিভেন, অঞ্চলভিত্তিক গো-টু মার্কেট (বিক্রয়) কৌশল ব্যবহার করে আমরা প্রয়োজনীয় পুষ্টিপণ্য সবার কাছে সুলভ ও সহজলভ্য করতে চাই।

Someone holding a 500g Classic Horlicks and a shelf full of Horlicks in the background

ভোক্তাদের দ্বারগোঁড়ায় পণ্য পৌঁছানো

অপুষ্টি ও খাদ্য-দারিদ্রের (ফুড পভার্টি) মত সাংঘর্ষিক আর পরস্পরবিরোধী আর্থসামাজিক বিষয়গুলো সবই একটি জটিল ও সম্পর্কযুক্ত প্রক্রিয়ার অংশ। সরকার, এনজিওসহ সকলের সাথে কাজ করে আমরা চেষ্টা করছি এই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন আনতে অ্যাডভোকেসি করছি। 'পল্লীদূত' নামের প্রান্তিক রিটেইলারদের সহযোগিতা ও ক্ষমতায়নের মত কার্যক্রম থেকে শুরু করে ইউ শপের মত প্রযুক্তি নির্ভর ই কমার্স প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আমরা প্রতিনিয়ত চ্যানেল ইনভেশন বা উদ্ভাবনী উপায়ে ভোক্তাদের কাছে সহজে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছি। নিত্য নতুন উদ্ভাবনী ধারণাগুলি বাস্তবায়ন করতে আমরা ডেটা, ইনসাইট ও স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করছি। প্রযুক্তি ও ডেটা ব্যবহারে আমাদের লিডারশিপ বা নেতৃস্থানীয় অবস্থান নিশ্চিত করছে ভোক্তাদের কাছে মানসম্মত, সুলভ পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা।

দায়িত্বশীল বিপণন

পুষ্টিসম্মত খাদ্যপণ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার গ্রহণের ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ । এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই), ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস (এফআইসিসিআই), মেট্রোপলিটান চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস (এমআইসিসিআই), গ্লোবাল এল্যায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (জিএআইএন) এর মতো অংশীজনদের (স্টেকহোল্ডার) সাথে নিউট্রিশন লেবেলিং, প্রোডাক্ট রিফরমুলেশন, ও রেস্পন্সিবল অ্যাডভারটাইজিং সম্পর্কিত নানা বিষয়ে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট ও পলিসি অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

Back to top